সোলেমান আজ লাঞ্চ করছিলো স্টাফ রুমে।
এক মেয়ে পানির ফিল্টারের পাশে দাড়ীয়ে ফোনে কথা বলছিলো। মেয়েটাকে বর্ননা করতে যদি সোলেমানকে শুধু একটা শব্দ দেয়া হতো, সেটা হতো “মায়াবতী”। সোলেমানের খুব ইচ্ছা করছিলো মেয়েটাকে কিছু বলার, কিন্ত সাহস পাচ্ছিলো না সে।
মেয়েটা এসে সোলেমানের টেবিলে বসলো, “আমি শেফালী” বলে হাসলো সে। একটু ইতস্তত করে সোলেমান বললো, “আমি সোলেমান”।
সোলেমানের লাঞ্চ করতে সাধারনত দশ মিনিট লাগে, লাঞ্চব্রেকের বাকি সময় সে অফিসের কাজই করে। আজ সে পুরো লাঞ্চ ব্রেক শেফালীর সাথে কথা বলে গেল। কথায় কথায় কম্পিউটারের কথা উঠলো। সোলেমান বলে ফেললো যে সে ছোটবেলায় কম্পিউটারে পেইন্ট খুলে আঁকিবুকি করে এরপর সেখানে রং দিতে খুব পছন্দ করতো। এ কথাটা সোলেমান এর আগে কখনো কাউকে বলেনি। শেফালী চুল ঝাকিয়ে হেঁসে উঠলো। “আমিও প্রায়ই এই কাজটা করতাম” অপরাধীর মত গলায় স্বীকার করলো সে।
পরদিন লাঞ্চ হাওয়ার আসতেই সোলেমান উঠে গেল, সাধারনত সে সবকিছু গুছিয়ে তারপর উঠে। স্টাফ রুমে গিয়ে সে দেখলো শেফালী সেখানে নেই। একাউন্টিং এর বাবুলকে সোলেমান নিচু গলায় জিজ্ঞেস করলো, “শেফালী মেয়েটা আসেনি আজ?” বাবুল জানালো যে শেফালী আসলে সোলেমানদের অফিসে কাজ করেনা, সফটওয়্যার ডিপার্টমেন্টের কি প্রয়োজনে স্পেশালিস্ট হিসেবে গতকাল এসেছিলো সে।
সোলেমানের লাঞ্চ আজ দশমিনিটেরও কমে শেষ হয়ে গেল। সে তার ছোট্ট অফিসটাতে গিয়ে কম্পিউটারে বসলো। পেইন্ট খুলে কিছুক্ষন আঁকাআকিঁর চেস্টা করলো। কিন্তু কেন যেন সেটা আর আগের মত মজার ছিলো না। সোলেমান কিছুক্ষন মনিটরের দিকে তাকিয়ে থেকে এরপর একটা ফাইল নিয়ে কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। লাঞ্চ হাওয়ারের তখনো প্রায় চল্লিশ মিনিট বাকি।
প্রথম রচিত: মার্চ ১৪, ২০১৬