সোলেমান মৃদু উত্তেজনা নিয়ে একটা ফর্ম ফিলাপ করছিলো।
অফিস থেকে সবার ডেস্কের জন্য একটা করে নেমপ্লেট দেয়া হবে, অফিসের বাইরের লোকেরা যাতে অফিসে এসে সহজেই নির্দিষ্ট কাউকে খুজে নিতে পারে।
সোলেমান বিভিন্ন রঙের অপশন গুলো দেখছিলো… কোনটায় টিক দেওয়া যায়। ফরেস্ট গ্রিন, লাইট ট্যান, গোল্ড সিলভার, ডিম গ্রে, স্টিল ব্ল্যাক… বেশ গালভরা রঙের নাম। সোলেমান স্টান্ডার্ড রংটাই পছন্দ করলো, গোল্ড সিলভারের নেমপ্লেট তার ডেস্কে বেশ ভালো মানাবে।
পরের সপ্তাহে সোলেমান অফিসে ঢুকতেই খেয়াল করলো সবার নেমপ্লেট এসে গেছে। অফিসের সময় শুরু হয়ে গিয়েছিল, সোলেমান ডেস্কে নেমপ্লেট লাগানোটাকে নিজের ব্যাক্তিগত বিষয় মনে করে, তাই সে সেটা নিতে গিয়ে অফিসের সময় নস্ট করলো না।
লাঞ্চে সোলেমান আলতো করে টেনে তার নেমপ্লেটেটা প্যাকেট থেকে বের করলো। বের হলো গাড় সবুজ রঙের একটা নেমপ্লেট, লেখা “সুলিমান”।
অন্তত সালমান তো লিখে নি, ভাবতে ভাবতে মৃদু বিরক্ত সোলেমান তার ডেস্কে নেমপ্লেটটা বসালো। বার্ষিক রিভিউ তে হিউম্যান রিসোর্সকে বেশ কড়া ভাষায় রিভিউ দিতে হবে এবার, মনে মনে ঠিক করলো সোলেমান।
দিন শেষে সোলেমান ফাইলপত্র গুছিয়ে নিচ্ছিলো, সোলেমানের ডেস্কটা একদম সামনের দিকে। সোলেমানের কলিগ মোহনা তার ডেস্কের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মুচকি হেঁসে বলল, শুভ সন্ধ্যা “সুলি”মান। -শুভ সন্ধ্যা। মৃদু স্বরে বললো সুলিমান।
বাসায় ফেরার পথে সোলেমান মুচকি মুচকি হাঁসছিলো। সোলেমানকে সাধারনত হাঁসতে দেখা যায়না।
প্রথম রচিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৫